top of page
DSC_6749.JPG

সামাজিক চিন্তার আঙ্গিকে দুর্গা পূজা

দুর্গাপূজার হাল-হকিকত

 

দুর্গাপূজা বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই উৎসব শুধুমাত্র ধর্মীয় রীতিনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।।  এর প্রভাব সুদুরপ্রসারী।  এই উৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ মিলনের উৎ;সিলনের উৎ;সিলনের  নারী ক্ষমতার উন্নতি সাধনের প্রতীক; নতুন করে চেনার উৎসব; নতুন করে প্রেমে পড়ার উৎসব। আপামর বাঙালি এই উৎসবে ওঠার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে।।।

 

আধুনিক বাংলার দুর্গাপূজার ইতিহাস

 

কথিত আছে বাংলায় দুর্গাপূজার প্রথম হয়েছিল পনেরশো খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে মালদা জেলায় কিছু জমিদারের হাত ধরে।। আবার আরেকটি মতবাদ প্রচলিত যে ভবানন্দ মজুমদার অথবা তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ন ১৬০৬ খ্রিস্টাব্দে এই পুজো প্রচলন করেন।।। এই বাংলায়_ CC781905-5CDE-3194-BB3B-136BAD5CF58D_ বারোয়ারি পুজো প্রথম শুরু হয় গুপ্তিপাড়া তে ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টাব্দে। এই বারোয়ারি পুজো কলকাতাতে আসেন কাশিম বাজারের রাজা হরিনাথ ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে।।। যদিও এই পুজো তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে _CC781905-5CDE-3194-BB3B-136BAD5CF58D_১৮২৪ খ্রিস্টাব্দ থেকেই শুরু হয়।।।।।।। " এখন কলকাতায় যত পুজো অনুষ্ঠিত হয় সবই সাধারণ সাধারণ জনগণের।।

আজকের প্রচলিত দুর্গাপ্রতিমা (একচালা) গঠনের নেপথ্যে ছিলেন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।।। একটু

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এখনকার প্রচলিত দুর্গা কাঠামোর পুজো প্রথা ভারতে আর কোন জায়গাতে নেই।। সেখানে দেবী একাই পূজিত হন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বাংলায় তৎকালীন অত্যন্ত নিপুণতায় এই পুজোর সাথে যেমন আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কে দিতে চেয়েছিলেন চেয়েছিলেন তেমনই রেখেছিলেন প্রকৃতি উপাসনার প্রতি।।।। মিলিয়ে দিতে দিতে সাথে যেমন প্রতি।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।। - দুর্গাপুজো কে সকল শ্রেণীর মানুষের উৎসবে পরিণত করবার প্রতি তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল।।।

কিছু কিছু আচার উপাচারের আমরা এদিকের কিছুটা হলেও সম্যক ধারণা পাই।।।

যেমন ধরা যাক মূর্তি তৈরীর উপকরণ: - মূর্তি তৈরির প্রধান উপকরণ (গোবর, গোমূত্র, গঙ্গামাটি, পুণ্য মাটি) অন্যতম পুণ্য মাটি যেটার স্থল স্থল নিষিদ্ধ পল্লী পল্লী '। প্রধান পুরোহিত কে বারবার ভিক্ষার মাধ্যমে এই নিয়ে নিয়ে আসতে।। " দুর্গাপূজা শুধুমাত্র দুষ্টের দমন আর পালনই নয় নয় দুর্গা পুজো র দিক হল প্রকৃতির আবাহন।। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে নিপুণতার সাথে সব কিছুকে একটি সূত্রে গাঁথা হয়েছে।।। দেবী দুর্গা মহাবিশ্বের সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রতম এবং সকল প্রাণীকুলের জন্মদাত্রী জন্মদাত্রী এবং জীবনের রক্ষক।।। গাছপালা, প্রাণী, পাখি, মাছ, মানুষ সবাই তাঁর সন্তান এবং আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সব রসদ সরবরাহ করেন।।। তিনি আমাদের অন্ন প্রদান করেন - তাই তিনি অন্নপূ্ࣰত তিনি গাছপালা রক্ষা করেন অতএব হলেন শাকম্ভরী শাকম্ভরী যার শরীর থেকে ধারন কারী উদ্ভিদ জন্মায়।। পুরান _cc781905-5CDE-3194-BB3B-136BAD5CF58D_ এবং বেদে দেবী দুর্গাকে বনদেবী অভিহিত করা হয়েছে হয়েছে।। এমনকি দুর্গার পূজার প্রচলিত নীতিতেও বারেবারে আমরা প্রকৃতির উল্লেখ পাই।। দুর্গা ঠাকুর এর গায়ের রং হলুদ বর্ণের যেটার যেটার সাথে একমাত্র তুলনা হয় হয় হয়; যার স্পর্শে সবকিছু অশুভ দূরে চলে যায় । অন্যভাবে দেখলে এই রঙ আমাদের সোনার বাংলার ফসলের প্রতিচ্ছবি।। ,

bottom of page